বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছে, আগামী ২২ মার্চ দিবাগত রাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ‘মার্চ মাসের ২১ তারিখে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে, যা সম্বন্ধে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলো প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। এ ঘূর্ণিঝড়টি হবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে মার্চ মাসে সৃষ্টি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড়।’
মোস্তফা কামাল বলেন, ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের উত্তর দিকে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানা প্রথম ঘূর্ণিঝড় হবে এটি। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে এ বিষয়ে ৭০-৮০ ভাগ নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় ২২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপ প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। এটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে আরও দুটো ধাপ পার হতে হবে। লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে এরপর গভীর নিম্নচাপ। তারপর পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এটা বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলার সময় আসেনি।’