ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.৯। উৎপত্তিস্থল কক্সবাজারের কাছে মিয়ানমারের ফালামে, ভূগর্ভের প্রায় ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিভাগ থেকে কাঁপুনি অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার ইএমএসসি তাদের সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, একই মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং। প্রভাবিত এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সাগাইং, উত্তর পূর্ব ভারত, এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমার ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থান করায় দেশটি সব সময়ই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে। প্লেট দুটির মধ্যবর্তী সাইগং ফল্ট মান্দালয় থেকে ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকে ঝুঁকির মুখে রেখেছে।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাব পড়ে থাইল্যান্ডসহ বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ২০ বছরে দেশটিতে এমন শক্তিশালী কম্পন আর রেকর্ড হয়নি।