সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ধাপে ধাপে শক্তি সঞ্চয় করে প্রথমে নিম্নচাপে এবং পরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’-এ রূপ নিয়েছে। বর্তমানে এটি শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থান করছে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর পশ্চিমমুখী অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়েছে এবং একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি এখনো বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা ঝোড়ো বা দমকা হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের আশপাশে সাগর অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত প্রদর্শন অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের পাশাপাশি উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে সাময়িকভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও দেশের আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া রাত ও দিনের তাপমাত্রাও প্রায় একই রকম থাকতে পারে।