হোম > পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকটেও ফেলছে: সাবের হোসেন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিশ্বাস। অন্যপক্ষকে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত কথাগুলোকে আমলে না নেওয়া পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হবে না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে থাকব নাকি নিজেরাই কার্বন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা করব।’

সাবের হোসেন আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফান্ডিং থেকে কিছু হবে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে হওয়া উচিত।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কথা বললেও জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনে (ইউএনএফসিসিসি) গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করেন সাবের হোসেন চৌধুরী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয় বরং এটি আমাদের অস্তিত্ব সংকটেও ফেলে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে কপ-২৭ সম্মেলন আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরে অনুষ্ঠিত হবে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে কি হয়েছে, একটা নাটক, থিয়েটার যে গভীর রাত পর্যন্ত দর-কষাকষি চলেছে। সম্মেলন শেষ হলেও তার আরও এক দুই দিন চলে। এর ফলে যা হয়, অনেক দেশের প্রতিনিধিরা থাকে না, চলে যায়। ১৮ তারিখের জায়গায় ১৯,২০ তারিখ পর্যন্ত চললে আফ্রিকার অনেক দেশই থাকবে না, বাংলাদেশও থাকবে না। এরপরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা হলে যারা থাকবে তারাই সেই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে ওই দেশগুলো থাকবে না। সুতরাং এই রুলস পরিবর্তন করা উচিত।’

ঢাকা-৯ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কপ সম্মেলন থেকে ফিরে আসার পরে প্রথম প্রশ্ন এটাই হয় যে এবারের কপ থেকে কি পেল বাংলাদেশ। এই কি পেল আসলে ঠিক হয় দরকষাকষি থেকে। প্রোসেস ঠিক না করলে আমি আউটকাম পাব না। ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলার পর যখন একটা দুইটা দেশ দ্বিমত পোষণ করে তখন সেটা বাতিল হয়ে যায়। এভাবেই কপের সম্মেলনগুলোতে আমাদের যেমন প্রত্যাশা ছিল সেগুলো ফুলফিল করা সম্ভব হয়নি।’

সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, ‘প্রথম ১০ বছর টার্গেট ছিল কার্বন নিঃসরণ কমানো, সেটাতে ফেল করল, পরের বছর বলল এখন এডাপটেশন (অভিযোজন) করতে হবে। এরপর ১০ বছর গেল তখন বলা হলো এডাপটেশন দিয়ে হবে না, মিটিগেশনও (প্রশমন) ফেল করে গেল, এখন লস এন্ড ড্যামেজে চলে যেতে চাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্ত পালটে যাচ্ছে।’

উপস্থিত অন্য বক্তাদের কথায়ও উঠে এসেছে উন্নত দেশগুলোর কথা না রাখার বিষয়টি। তারা তেল কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলেও সেখানে নতুন কোনো রিসোর্সের ব্যবহার করেনি বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। জলবায়ুর আগ্রাসন থেকে পৃথিবীর কোনো দেশই বাঁচতে পারেনি। বড়বড় রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানেরা এগুলো নিয়ে ভাবছেন না। ক্ষতি তাদেরও হচ্ছে এরপরেও জলবায়ুর দিকে তাঁদের নজর নেই।

যেখানে টাকা দিলে পৃথিবীর লাভ হবে সেখানে ক্ষমতাবানেরা টাকা খরচ করতে চান না। ইলন মাস্ক বিপুল টাকা খরচ করে টুইটার কিনেছেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তিনি কিছু করবেন না বলে উল্লেখ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তরুণদের আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ

ঢাকায় বেড়েছে বায়ুদূষণ, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় কাবুল

পৌষ মাসে নেই শীতের দেখা, বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী