বৃন্দাবন দাসের লেখা ও সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত সাকিন সারিসুরি ধারাবাহিক দিয়ে অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানার পথচলা। নাটকটিতে রুইতন চরিত্রে অভিনয় করা মোশাররফ করিমের বিপরীতে কাকলী চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। নাটকটির শেষ দৃশ্যে মণ্ডলের গুলিতে মারা যায় রুইতন। আজ সীমানার মৃত্যুতে দর্শক যেন ফিরে গেছে সেই গল্পে। ফেসবুকজুড়ে তাদের পোস্ট, ‘রুইতনের কাছেই বুঝি চলে গেলেন কাকলী!’
২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন সীমানা। এরপর ‘সাকিন সারিসুরি’ ধারাবাহিক দিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। সীমানাকে প্রথমবার সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কথা হয় নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলুর সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পরই বুঝেছিলাম, সীমানা অসম্ভব মেধাবী একজন অভিনেত্রী।’
আজকের পত্রিকাকে তিনি সে সময়ের স্মৃতিচারণ করে সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘সীমানার শুরু সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে। প্রথমে একটু সন্দিহান ছিলাম, মোশাররফ করিমের বিপরীতে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে কেমন করবে। দুই-তিন দিনের মতো গ্রুমিং হলো, বেশ দ্রুত সময়ে সেসব আয়ত্ত করে ফেলল। যখন ক্যামেরা ওপেন হলো, সীমানার অভিনয়ে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এত ভালো অভিনয়! ও তখন অনেক পরিশ্রম করেছিল, কারণ ও একজন অভিনেত্রী হতে চেয়েছিল। ওর সবচেয়ে বড় গুণ সততা, শুটিংয়ে কখনো ফাঁকিবাজি করেনি, সময় নষ্ট করেনি।’
‘সাকিন সারিসুরি’ ধারাবাহিকটি লিখেছেন বৃন্দাবন দাস। সীমানার মৃত্যু তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি কাকলী চরিত্রে সীমানাকে যেন দেখছেন সেই সাকিন সারিসুরি গ্রামে। মোশাররফ করিমের বিপরীতে প্রথমবার পর্দায় সীমানার অভিনয়, তৃপ্তি দিয়েছিল একজন লেখককেও।
‘রুইতনের কাছেই বুঝি চলে গেলেন কাকলী!’ সীমানার মৃত্যুর পর ফেসবুকজুড়ে ভাসছে এমন অনেক পোস্ট। নাটকটির লেখক হিসেবে বৃন্দাবন দাস বিষয়টি কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘লাইনটা শুনে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। আমার কলমেই তো রুইতনের মৃত্যু হয়, আর এখন সীমানার মৃত্যু কাকলীকে নিয়ে যাচ্ছে রুইতনের কাছে! একজন লেখকের কাছে এর চেয়ে কষ্টের আর কঅ হতে পারে? আমি যদি রুইতনকে না মারতাম, তাহলে কি কাকলী (সীমানা) বেঁচে থাকত? আসলে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো হয় না। তবে এতটুকু বলতে পারি, এই অল্প বয়সে সীমানার মৃত্যু মানতে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার।’