২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।
সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।