বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে অব্যাহতির সুপারিশ করে অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। ৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আজ বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ মামলার আরেক আসামি ফোরথর্ট পিআরের (কনসার্ন অব এশিয়াটিক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকরাম মঈন চৌধুরীকেও অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরেশ জাকের ও ইকরাম মঈন চৌধুরী মামলার ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলেন মর্মে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিতির স্থিরচিত্র বা কোনো ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তাঁরা মামলার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মামলার ঘটনা সংঘটিত করেছিল মর্মে কোনো তথ্যবহুল দালিলিক সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি বিধায় তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের দায় থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করা যেতে পারে। ভবিষ্যতে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওই দিন আদালত তাঁর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। মামলাটিতে অভিনেতা ইরেশ যাকের ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) বিএনপি কর্মী রেনেটা কোম্পানির কর্মচারী। ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট দুপুরে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে বেলা আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ভাই গুলিবিদ্ধ হন। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ ভাইকে চিকিৎসার জন্য রিকশায় করে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।