এ সপ্তাহের সিনেমা
অ্যাভাটার সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। প্রথম পর্বের মতো এটি নিয়েও দর্শকদের উন্মাদনা ছিল অবাক করার মতো। আয় করেছিল ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তিন বছর ধরে দর্শকের কৌতূহল অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব নিয়ে। সেই অপেক্ষা ফুরাল এত দিনে। আজ ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও আজ থেকে দেখা যাবে সিনেমাটি।
অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্বে নতুন অনেক কিছু যুক্ত করেছেন জেমস ক্যামেরন। এসেছে নতুন গোষ্ঠী, নতুন চরিত্র। ভিলেন হিসেবে দেখা যাবে ভারাং নামের একটি চরিত্রকে। অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সংযোজন বলা হচ্ছে এ চরিত্রকে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘গেম অব থ্রোনস’খ্যাত অভিনেত্রী ওনা চ্যাপলিন। জানা গেছে, ভারাং হলো অ্যাশ পিপল গোত্রের নেত্রী, আগ্নেয়গিরিতে যে গোত্রের বসবাস। যারা অবিশ্বাস্য কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছে। এ কারণে ভারাং অনেক কঠোর। নিজের জাতির জন্য সে যেকোনো কিছু করতে পারে।
নির্মাতা জানিয়েছেন, প্যান্ডোরার ভিন্ন এক দিক উঠে এসেছে অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশে। নাভি জাতি মানেই ভালো, আর মানুষ জাতি মানেই খারাপ—এই সরল অঙ্কের বাইরে তিনি যেতে চেয়েছেন এই পর্বে। জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘এ পর্বের কেন্দ্রে থাকবে অ্যাশ জাতি। নাভি জাতিকে ভিন্ন এক দিক থেকে দেখিয়েছি। কারণ, আগের পর্বগুলোতে শুধু তাদের ভালো দিকই দেখিয়েছি। আর নেতিবাচক চরিত্রে দেখিয়েছি মানুষ জাতিকে। অ্যাভাটার থ্রিতে চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টে যাবে।’
দ্য ওয়ে অব ওয়াটারের ঘটনার পরপরই শুরু হয় ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশের গল্প। জ্যাক সুলি (স্যাম ওয়ার্থিংটন) ও নিতিরি (জো সালদানা) বড় সন্তানের মৃত্যুশোক সামলাতে সামলাতে নতুন বিপদের মুখে পড়ে। অ্যাশ উপজাতির নেতা ভারাং পুরোনো শত্রুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাভিদের ওপর আক্রমণ চালায়। পরিবার, জনগোষ্ঠী ও গ্রহ রক্ষার লড়াই—এটাই রয়েছে কাহিনির কেন্দ্রে।
হলিউডের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভিজ্যুয়ালের দিক থেকে আগের দুই পর্বকে ছাড়িয়ে গেছে ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ। বিশেষ করে শেষ ৩০ মিনিটের যুদ্ধের দৃশ্যে গ্রাফিকস দর্শকদের নিয়ে যাবে অন্য জগতে।