শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে কি না—এমন প্রশ্ন রেখে জাকসু নির্বাচনে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে থাকা বা বর্জন করা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কারণটা তাঁরাই ভালো জানেন।
গতকাল বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো কারচুপির ঘটনা ঘটেছে—এমন অভিযোগ তুলে মাজহারুল ইসলাম বলেন, পোলিং এজেন্টদের সঠিকভাবে নিয়োগ দিতে দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে অবস্থান করছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা আটক হয়েছেন। বঙ্গমাতা ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ছাত্রদলের একটি সম্পূর্ণ গ্রুপ ঢুকে নির্বাচন আটকে দিয়েছে এবং গোলযোগের সৃষ্টি করেছে। সে জায়গায় শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছে যে কাজটি আসলে যৌক্তিক ছিল না।
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২১ হলে ও তাজউদ্দীন হলে তাঁরা জোরপূর্বক প্রার্থী হয়েও কেন্দ্রে ঢুকতে চেয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। এসব ঘটনা আমাদের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা আমাদের বিপরীত দিকে আছে, তাদের বিরুদ্ধে যায়। এত কিছু সত্ত্বেও আমাদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে, অথচ আমরা স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য গতকাল রাত থেকে আরও বেশি প্রচেষ্টা চালিয়েছি। গতকাল রাতে আমাদের পাশে তেমন কেউ ছিলেন না। আমরা আমাদের স্বচ্ছতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, তাই আমরা শুরু থেকেই আমাদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিতে চাই। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের গ্রহণ করে, তা আমরা মেনে নেব, গ্রহণ না করলেও মেনে নেব। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া, সেটা আসলে আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মনে করি।’