কঠোর নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নজরদারির মধ্য দিয়ে চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়া বাইরের কারও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নির্বাচন কমিশন আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে প্রতি প্যানেলকে পাঁচজন বহিরাগত প্রবেশ করানোর অনুমতি দিয়েছে।
এই অনুমতির সুযোগে ক্যাম্পাসে দেখা মিলছে বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট এলাকায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আমানুল্লাহ আমানকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে গতকাল বিকেলেও টুকিটাকি চত্বরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল।
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি নিজেও দেখেছি। প্রশাসনের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা কীভাবে ভোট চলাকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন, সেটি এখন বড় প্রশ্ন। তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ঢুকেছেন নাকি অন্যভাবে, তা আমরা জানি না। তবে এ ধরনের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সংগঠন আবেদন করেছিল। সেই আবেদন বিবেচনা করে প্রতি প্যানেলকে পাঁচজন বহিরাগত প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না, শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরে নির্বাচনপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ছাত্রদল, শিবিরসহ যারা আবেদন করেছে, সবাইকে সমানভাবে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।