হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

নির্বাচিত হয়ে যা বললেন জাকসুর ভিপি জিতু ও জিএস মাজহারুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মাজহারুল ইসলাম।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণের দুই দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট। আর জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম পেয়েছে ৩ হাজার ৯৩০।

ফল ঘোষণার পর বন্ধুসহ সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল করে বের হন জিতু। ফুলের মালা পরানোর পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের ৩৩ বছরের চাওয়া আজ পূর্ণতা পেল। দলমত-নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করব। নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার পাশাপাশি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করব। নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য গেস্টরুম সংস্কৃতি জাহাঙ্গীরনগর থেকে চিরতরে তুলে দেব।’

অন্যদিকে নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই বিজয় কেবল আমাদের নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তবে প্রকৃত বিজয় হবে যেদিন আমাদের আমানত সফলভাবে রক্ষা করে পরবর্তী জাকসুর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারব। তখন শিক্ষার্থীরা যদি স্বীকৃতি দেয় যে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি— সেদিনই বলতে পারব আমরা সত্যিকারের বিজয়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে আমাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও কূৎসা রটানো হয়েছে। কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে প্রমাণ করেছি, একটি ছাত্রসংগঠন নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে পারে।’

ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ীরা বড় কোনো শোভাযাত্রা না করে সিনেট ভবন ত্যাগ করেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শুকরিয়ার নামাজ আদায় করেন।

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলেও নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতসংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ব্যালটপেপার ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা, ডোপ টেস্টের ফল প্রকাশ না করা এবং নির্বাচন ‘ম্যানিপুলেট’ করার চেষ্টা।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও ছাত্র ফ্রন্টের আংশিক প্যানেলও একই পথে হাঁটে। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক-অধ্যাপক। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারও পদত্যাগ করেন।

জকসু নির্বাচন: ‎ছাত্রনেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দিল কমিশন

‎জকসু নির্বাচন: ৬টি মেশিনে ভোট গণনা, ফলাফল দেখা যাবে লাইভে

‎জকসু নির্বাচন: ‎শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রুট প্ল্যান ঘোষণা

জকসু নির্বাচন: কাল ভোট, নিরাপত্তা জোরদার

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর বুটেক্সে প্রথম সমাবর্তন

সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট

নতুন বছরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

জ্ঞান, নৈতিকতা এবং উৎকর্ষের ধারায় তিন দশকের গৌরবময় অগ্রযাত্রা

জকসুর প্রচারণা শেষ: সুষ্ঠু ও শঙ্কামুক্ত নির্বাচনের আশায় প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা