জিএস প্রার্থী, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ
ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাহিন সরকার। গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে পরিস্থিতি একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে। মেয়েদের হলে নির্বাচন করতে অনেককে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ ছাত্রদল করেছে।
এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড খুব জরুরি। আর তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে।
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত হন। এর আগে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব পদে দায়িত্বে ছিলেন মাহিন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কও ছিলেন তিনি।
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাহিন বলেন, ‘এটা আমার জন্য অপমানজনক। হঠাৎ করে কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই আমাকে বহিষ্কার করা হলো। এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনীতির জন্য ভালো নজির না। আমার বিরুদ্ধে কেউ আর্থিক অনিয়ম বা চারিত্রিক স্খলনজনিত কোনো বিষয়ে অভিযোগও করেনি। সেই জায়গা থেকে প্রত্যাশা ছিল বহিষ্কারের আগে অন্তত কারণ দর্শানোর নোটিশটা দেবে।’
নির্বাচিত হলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নে মাহিন সরকার বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ ও রূপরেখা কেমন হবে—এটা নিয়ে দেরিতে হলেও কাজ করার চেষ্টা করব। যদিও এ কাজটি গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়েই করার প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। এর মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রার ভবন ডিজিটালাইজেশন করা, খাবারের ভর্তুকি বাড়ানো, কথা বলা-সমালোচনা করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।