রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে আটটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল। ভোট গ্রহণ চলাকালে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে প্যানেলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ জানানো হয়।
অভিযোগগুলো পড়ে শোনান শিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণের সময় ভোটারদের হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে; নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিলেও সিরাজী ভবন, রবীন্দ্র ভবন ও জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনের ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের চিরকুট নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।
ফাহিম অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল ও আধিপত্যবিরোধী প্যানেলের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়া ও হবিবুর রহমান হলের পাশে ছাত্রদল বুথ নির্মাণ করেছে, যা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে না। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে এখন বহিরাগত প্রবেশ করছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়াকড়ি শিথিল করেছে। আর নীতিমালা লঙ্ঘন করে গতকাল বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে দেয়াললিখন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ফাহিম বলেন, ‘ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জামায়াত নাকি অস্ত্রের রাজনীতি করছে—এমনটি বলা হচ্ছে। ছাত্রদলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যাম্পাসে বসে থেকে এসব গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের সভাপতি নিজেও ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন।
জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, এ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখন নেই। তিনি জানান, যতক্ষণ নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ ছিল, ততক্ষণ তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এখন এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। কমিশন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তাঁরা আশা করেন।
ফাহিম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের ওপর আস্থা রেখে এই নির্বাচনে থাকতে চাই। কিন্তু থাকার জন্যই যে যেমন খুশি তেমন হবে, তা আমরা মেনে নেব না।’
প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘এই নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে কি না, সেটি ফলাফলের পর বলা যাবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করব, সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণা করার জন্য।’