জিয়া উদ্দিন সায়েম পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে তিনি ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে।
শখের বশে ক্যালিগ্রাফি করেন সায়েম। প্রথমে এসব করে ফেসবুকে পোস্ট করতেন। সে সময় বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রতিনিয়ত। ধীরে ধীরে তাঁর শিল্পকর্মের কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীরা ক্যালিগ্রাফি করার বায়না ধরলে তিনি নিরাশ করতেন না কাউকে। এখন ক্যালিগ্রাফির কাজটা শখের মধ্যে আবদ্ধ নেই শুধু; বন্ধুবান্ধব ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন বিভিন্ন সুরা কিংবা নাম লিখে দেওয়ার অর্ডার আসে তাঁর কাছে। জন্মদিনে উপহার দেওয়ার জন্য, আবার কেউ স্রেফ পড়ার টেবিলে কিংবা বাসার দেয়ালে সাজিয়ে রাখতে ক্যালিগ্রাফি করিয়ে নেন সায়েমের কাছ থেকে।
সায়েম ক্যাম্পাসের ভেতরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁর রুমমেট রাসেদ জামসেদ বলেন, ‘ওর কাজগুলো অসাধারণ। সায়েম যখন কাজ করে, তখন আমি এসে দেখি। ইচ্ছে করে আমিও ওর মতো আঁকি। খুব যত্নসহকারে কাজগুলো করে সে’।
সায়েমের সহপাঠী সাকিব মাহমুদ রুমী জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে সায়েমের বড় পরিচয় ক্যালিগ্রাফি শিল্পী হিসেবে। আরবি অক্ষর ও শব্দগুলো সুন্দর করে তুলে ধরেন তিনি। একজন ভালো ক্যালিগ্রাফি শিল্পী হিসেবে নিজেকে দেখতে চান জিয়া উদ্দিন সায়েম।