ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আরও একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রগতিশীল বাম জোট গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্যানেলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
আগের দিন সোমবার ঘোষণা করা হয়েছিল তিনটি প্যানেল। সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদকে রেখে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) ভিপি ও মেঘমল্লার বসুকে জিএস প্রার্থী করে প্যানেল ঘোষণা করে প্রতিরোধ পর্ষদ। আর স্বতন্ত্র প্যানেলের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এই প্যানেলে তিনি নিজে ভিপি ও জিএস পদে রয়েছেন আল সাদী ভূইয়া।
প্রগতিশীল বাম জোট গতকাল তাদের প্যানেল প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) সমর্থিত এ জোটে ভিপি পদে লড়বেন বিসিএলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাঈম হাসান হৃদয়। জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এনামুল হাসান অনয় এবং সহসাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সদস্যসচিব অদিতি ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মোট ৬৫৮টি মনোনয়ন ফরম। শেষ দিনে বিক্রি হয়েছে ৯৩টি, আর এর আগের আট দিনে বিক্রি হয়েছিল ৪৪২টি ফরম। এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ১০৬টি মনোনয়নপত্র।
অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনের জন্য বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪২৭টি ফরম, যার মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সর্বাধিক ১১২টি আর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সর্বনিম্ন ৩৩টি ফরম বিক্রি হয়েছে।
আজ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়ন নিয়েছেন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ শিক্ষার্থীরাই। কেউ দলীয় পরিচয়ে ফরম সংগ্রহ করেননি। তবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত যদি কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।