জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে শিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মাজহার বলেন, দুটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে, পোলিং এজেন্টদের নিয়েও ছিল চরম বিশৃঙ্খলা আর বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।
মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২১ নম্বর হলে তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি জানান, ওই হলের প্রভোস্ট আগেই ভোটকেন্দ্র থেকে ১০০ গজ দূরে প্রচারপত্র বিলি করার অনুমতি দিয়েছিলেন, অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল তাঁদের কর্মীদের হয়রানি করেছে এবং মিথ্যাচার করেছে। একই সঙ্গে তিনি ওএমআর মেশিন নিয়ে অপপ্রচারেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জামায়াতের প্রতিষ্ঠান বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, একজন জিএস প্রার্থী ও ৪৬ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী সরাসরি লিফলেট বিতরণ করেছেন। সাংবাদিকেরা বিষয়টি ধরলে তাঁরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করে উল্টো প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরকে দোষারোপ করেন এবং পরে দলবল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন।