জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নামে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায় জন ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি শরণ এহসান।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেলের ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশনের সাবেক সভাপতি প্রাপ্তি তাপসী। শেষে ২৯ দফা ইশতেহার পাঠ করেন জিএস প্রার্থী শরণ এহসান।
প্যানেলে সহসাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে নূর-এ তামীম স্রোত, সহসাধারণ সম্পাদক (নারী) ফারিয়া জামান, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সুকান্ত বর্মণ, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক সোমা ডুমরী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আতিকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোছা. রাহাতুল ফেরদৌস ও সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মায়মুনা বিনতে সাইফুল।
এ ছাড়া নাট্য সম্পাদক ইগিমি চাকমা, সহক্রীড়া সম্পাদক (নারী) প্রত্যাশা ত্রিপুরা, সহক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) রেংথ্রি ম্রো, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. মাহফুজ আহমেদ, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক আবরার হক বিন সাজেদ, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (নারী) মায়িশা মনি, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) মো. তাজুন ইসলাম, স্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক সম্পাদক লাবিবা মুবাশশিরা ইশাদি, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক সিমান্ত বর্ধন।
নারীদের জন্য নির্ধারিত তিনটি সদস্য পদে আরিফা জান্নাত মুক্তা, আনিকা তাবাসসুম ফারাবী ও আদৃতা রায় প্রার্থী হয়েছেন। আর ছেলেদের জন্য নির্ধারিত তিনটি সদস্যপদে নিহ্লা অং মারমা, সৈকত কুমার কানু, চুই থুই প্রু মারমা ও এরফানুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন।
জাকসু নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা প্যানেলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ১১ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন এ প্যানেলে এবং আদিবাসী শিক্ষার্থী রয়েছেন সাতজন।
প্যানেল সম্পর্কে জানতে চাইলে ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায় বলেন, “সব মতের ও পথের মানুষদের নিয়ে আমরা জাকসু নির্বাচনে বেরিয়ে আসতে চাই। সেই বার্তা আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন। আমরা এমন একটি জাকসু চাই, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাঠামোর ভারসাম্য বজায় থাকবে, শিক্ষকদের যে একচেটিয়া আধিপত্য, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যাবে।
‘আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এবং জাহাঙ্গীরনগরকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, আমরা সেগুলোকে আমাদের ইশতেহারে রাখার চেষ্টা করেছি।’