পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। উন্নত জীবনযাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ থাকায় ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফ্রান্সের শিক্ষার মান খুবই উন্নত এবং এর ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশটির অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে, যেগুলো র্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তাই প্রতিবছর প্রচুর বিদেশি শিক্ষার্থী পড়তে যান ফ্রান্সে। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে উন্নত দেশটিতে শিক্ষা গ্রহণের পর আছে বিশ্বব্যাপী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। অনেক বছর ধরেই ফ্রান্স গণিতশাস্ত্র, জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র, জেনেটিকস, পদার্থবিদ্যা এবং অন্য অনেক বিষয়ের জন্য বিখ্যাত। তা ছাড়া এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ ভালো অঙ্কের স্কলারশিপও দেওয়া হয়।
তেমনি স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ দিচ্ছে ফ্রান্সের প্যারিস স্যাকলে ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ‘ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আইডিইএক্স’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের বছরে ১০ হাজার ইউরো প্রদান করা হবে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া ভ্রমণ ও ভিসা খরচের জন্য ১ হাজার ইউরো প্রদান করা হবে। এক বছরের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী বছরের বৃত্তি নির্ধারণ করা হবে। এই স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির যেকোনো বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারবেন।
যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
সুযোগ-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের বছরে ১০ হাজার ইউরো প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা।
ভ্রমণ ও ভিসা খরচের জন্য ১ হাজার ইউরো প্রদান করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ হতে হবে।
স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
ফ্রান্সে এক বছরেরও কম সময়ের জন্য বসবাসকারী বিদেশি শিক্ষার্থী।
ইংরেজিতে দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্থায়ী বসবাসের সুযোগ: আপনি একটানা পাঁচ বছর বৈধভাবে থাকার পর স্থায়ী বসবাসের (পিআর) জন্য আবেদন করতে পারবেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে আরও কিছু শর্ত রয়েছে।
ওয়েবসাইট: www.universite-paris-saclay.fr
আবেদনের শেষ সময়
৭ মে, ২০২২
মুসাররাত আবির