হোম > শিক্ষা

বই পড়তে বসলেই ঘুম আসে

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

ছবি: সংগৃহীত

বই পড়তে বসলে ঘুম চলে আসা একটি সাধারণ সমস্যা। এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকে। মনে হয়, বই যেন ঘুমের ওষুধ। তবে কিছু কৌশল আছে, যা আপনাকে বই পড়ার জন্য উৎসাহিত এবং ঘুম দূরে রাখতে সাহায্য করবে। বই পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায় নিয়ে লিখেছেন ক্যারিয়ারবিষয়ক লেখক এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন

প্রথমে দেখে নিতে হবে, আপনার ঘুমের অভ্যাস ঠিক আছে কি না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ফলে বই পড়ার সময় চোখের পাতায় ঢুলুনি আসে। তাই প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন। সকালের সূর্যের আলোয় দিন শুরু করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে মন প্রাণবন্ত থাকবে, আর বই পড়ার সময় ক্লান্তিবোধ কম হবে।

পড়ার পরিবেশ সুন্দর করুন

একটি ভালো পরিবেশ ঘুমের অনুভূতি দূর করতে সাহায্য করে। অন্ধকার বা শীতল জায়গায় বই পড়লে ঘুমানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এমন জায়গায় বই পড়ুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো থাকে এবং ঠান্ডা পরিবেশ না থাকে। আপনি যদি খাটে বা সোফায় বসে পড়েন, তবে সেখানেও ঘুম আসতে পারে। কাজেই সোজা চেয়ারে বা ডেস্কে বসে পড়ার চেষ্টা করুন।

বইয়ের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করুন

বইয়ের বিষয়বস্তু যদি খুব একঘেয়ে বা কঠিন হয়, তবে মনোযোগ হারিয়ে ঘুম চলে আসতে পারে। এ জন্য বইটি নির্বাচন করার সময় নিশ্চিত করুন, যে বিষয়বস্তু আপনার আগ্রহের। ঘুম এলে যে বিষয়ে আপনার কাছে সবচেয়ে আনন্দদায়ক লাগে, সেই বিষয়টি পড়ুন। ঘুম এলে একাডেমিক বইয়ের বাইরে গল্প বা রোমাঞ্চকর বই পড়লে মনোযোগ বজায় রাখতে সহজ হবে।

বিরতি নিয়ে পড়ুন

একটানা দীর্ঘ সময় পড়লে চোখ ও মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়, ফলে ঘুমের প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই ৩০-৪৫ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। এই সময় একটু হাঁটাহাঁটি করুন, চোখে পানির ঝাপটা দিন বা হালকা স্ট্রেচিং করুন। এতে শরীর সতেজ থাকবে এবং মনোযোগ ফিরে আসবে।

অ্যাকটিভ রিডিংয়ের কৌশল

শুধু চোখ বুলিয়ে পড়ার চেয়ে ‘অ্যাকটিভ রিডিং’ বেশি কার্যকর। পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশ নোট করুন, বইয়ের বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করুন। কোনো বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে সেটি নিয়ে ভাবুন, নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। এতে একদিকে পাঠের গভীরতা বাড়বে, অন্যদিকে ঘুমের প্রবণতাও কমে যাবে।

চা বা কফির সাহায্য নিন

অনেকে চা বা কফি পান করলে সতেজ অনুভব করেন। বই পড়ার আগে বা মাঝেমধ্যে এক কাপ চা বা কফি পান করলে ঘুম কেটে যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে ঘুমের ছন্দ বিঘ্নিত হতে পারে, তাই পরিমিত পান করুন।

শরীর সুস্থ রাখুন

শরীর দুর্বল হলে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে সহজে ঘুম পেয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। সুস্থ শরীর মানেই সজীব মন, যা আপনাকে পড়ার সময় মনোযোগী রাখবে।

নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন

বই পড়ার উদ্দেশ্য পরিষ্কার থাকলে আগ্রহ বাড়ে। নিজেকে প্রশ্ন করুন—কেন আপনি বইটি পড়ছেন? যদি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পড়েন, তবে নিজেকে কল্পনা করুন, কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়ার পর কেমন লাগবে। ভালো রেজাল্টের জন্য পড়লে সফলতার অনুভূতি কেমন হবে, সেটি ভাবুন। এ ধরনের অনুপ্রেরণা আপনাকে বই পড়ায় আরও উৎসাহী করবে।

বই পড়া একটি আনন্দদায়ক অভ্যাস, কিন্তু এর জন্য দরকার সঠিক পরিবেশ, মনোযোগ এবং সামান্য কিছু কৌশল। তাই পরেরবার যখন বই পড়তে বসবেন, এই কৌশলগুলো অনুসরণ করুন। দেখবেন, ঘুম আপনাকে আর বাধা দিতে পারছে না, বরং বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়ার আনন্দই আপনাকে মাতিয়ে তুলছে।

তিন দিনে ৫ পরীক্ষা বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ

উচ্চশিক্ষা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, এটি সবার অধিকার

পাঠকবন্ধুর মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল: স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জসহ ৭ অ্যাওয়ার্ড জয়

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে বাংলাদেশি মিথিলার পথচলা

কৃষক বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন উর্মি

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৬)

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত মেক্সট বৃত্তি