ভাবো, তোমার দুই বন্ধু আছে—রুবেল আর সুবেল। দুজনেই ভাষা নিয়ে খুব উৎসাহী। রুবেল প্রতিদিন কানের কাছে মুখ এনে বলে, ‘শোনো তো, আমি কীভাবে এ শব্দটা বললাম?’ আর সুবেল বলে, ‘হুম, শব্দটা বলেছো ঠিক আছে; কিন্তু বাক্যে কোথায় ব্যবহার করলে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
এই রুবেল হলো ফোনেটিকস আর সুবেল হলো ফোনোলজি!
ফোনেটিকস
ফোনেটিকস খুঁটিয়ে দেখে কীভাবে শব্দের আওয়াজ তৈরি হয়।
উদাহরণ: ‘pat’ আর ‘bat’ শব্দে প্রথম ধ্বনিটা আলাদা—একটাতে ঠোঁটের সঙ্গে বাতাসের ছোট্ট বিস্ফোরণ, আরেকটাতে গলা কম্পন করে। ফোনেটিকস শিখলে তুমি এ পার্থক্য ধরতে পারবে।
ফোনোলজি
ফোনোলজি দেখে শব্দের আওয়াজ ভাষায় কেমন করে ব্যবহার হয়।
মানে, কোন ধ্বনি কোথায় বসে, ধ্বনির মিল-অমিল, ছন্দ, জোর—সবকিছু ফোনোলজির হাতে।
উদাহরণ: বাংলায় ‘ক্ষ’ আর ‘ষ’ আলাদা করে লেখা হয়; কিন্তু কথায় অনেক সময় মিলেমিশে যায়। আবার ইংরেজিতে ‘l’ ধ্বনি কখনো স্পষ্ট, কখনো নরম—ফোনোলজি এ নিয়মগুলো বোঝায়।
কেন এটা জানা দরকার?
তুমি যদি শুধু ফোনেটিকস জানো, তাহলে শব্দ সঠিকভাবে বলতে পারবে, কিন্তু কোথায় কোন ধ্বনি বসবে সেটা না জানলে ভুল হবে। আর শুধু ফোনোলজি জানলে, নিয়ম বুঝবে কিন্তু উচ্চারণ গড়বড় হয়ে যাবে। তাই, দুজনকেই দরকার—রুবেল আর সুবেল, অর্থাৎ ফোনেটিকস + ফোনোলজি!