তুমি কি কখনো ভেবেছ, ইংরেজির ‘cat’ আর ‘cake’ শব্দ দুটো দেখতে অনেকটা একই। কিন্তু কেন উচ্চারণে পুরো আলাদা? কিংবা ‘ship’ আর ‘sheep’—দুটি শব্দের মাঝেও সামান্য পার্থক্য কীভাবে এত বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে? এসবের পেছনে লুকিয়ে থাকে একটা বিশেষ ‘কথার ম্যাজিক’, যার নাম—ফোনেটিকস।
ফোনেটিকস কী?
ফোনেটিকস মানে হলো ‘কথার ধ্বনি’ বা ‘শব্দের আওয়াজ’ নিয়ে বিজ্ঞান। আমরা কীভাবে শব্দ তৈরি করি, উচ্চারণ করি, আর সেই শব্দ শুনে বুঝতে পারি—এসব কিছুই ফোনেটিকস শেখায়। সহজ কথায় বললে, যখন তুমি ‘boy’ বলো, তোমার ঠোঁট দুটো একসঙ্গে মিলিয়ে শব্দটা তৈরি হয়। আর যখন ‘toy’ বলো, তখন
ঠোঁট আর জিবের অবস্থান একটু ভিন্ন হয়।
ফোনেটিকসই বুঝিয়ে দেয় এই পার্থক্য। উদাহরণ দিয়ে দেখি » ‘Pen’ আর ‘Pan’—দেখতে প্রায় একই, কিন্তু ‘e’ আর ‘a’ স্বরের উচ্চারণ একেবারে আলাদা। তাই যদি তুমি ‘pen’-কে ‘pan’-এর মতো বলো, তাহলে ভুল বলা হবে।
কেন ফোনেটিকস জানা জরুরি?
একটু খেলা করি
তুমি কি পারো ‘th’ শব্দ সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে?
যেমন—‘thank you’, ‘think’, ‘birthday’। চেষ্টা করো, জিব দাঁতের পেছনে রেখে বলো। এবং ‘ship’ আর ‘sheep’ শব্দ দুটো উচ্চারণ করে দেখো। তোমার কানে কি পার্থক্য শোনা যাচ্ছে?
আগামী পর্বে (ফোনেটিকস আর ফোনোলজির মধ্যে পার্থক্য)