হোম > শিক্ষা

বিশ্ব সেরা গবেষকের তালিকায় জাবি ছাত্রের নাম

জাবি প্রতিনিধি

বিশ্ব সেরা শতকরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রের নাম। তাঁর নাম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামুনের সর্বমোট গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যা ৯৬ টি।

২০২০ সালের পারফরম্যান্স অনুযায়ী র‍্যাঙ্কিং তালিকায় বাংলাদেশি গবেষকদের মধ্যে ১৩ তম অবস্থানে রয়েছে তাঁর নাম। যেখানে বাংলাদেশের মোট ৯৭ জন গবেষকের নাম উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি, সাইকিয়াট্রি সাব-ফিল্ডে তাঁর র‍্যাঙ্কিং সারা বিশ্বে ৫১২ তম।  

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফোর্মেটিক্স বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাঁর সাইটেশনের সংখ্যা ৩ হাজার ১০০। 

জানা যায়, বিশ্ব সেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর এ তালিকা প্রস্তুত করে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল থেকে এই তালিকা ‘প্লস বায়োলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এতে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৬০ লাখ বিজ্ঞানীর প্রকাশনা, উদ্ধৃতি, এইচ-ইনডেক্সসহ অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। যার ভিত্তি স্কোপাস ইন্ডেক্স আর্টিকেল।  সর্বশেষ এই র‍্যাঙ্কিং ২০২১ সালের জন্য হালনাগাদ করা হয়। 

মোহাম্মদ মামুনের জন্ম কুড়িগ্রামে। সেখানেই স্কুল কলেজ শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে। পরবর্তীতে গবেষণার প্রতি আগ্রহের কারণে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফোর্মেটিক্স বিভাগে। 

গবেষক মোহাম্মদ মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিভাগে আসার সিদ্ধান্ত আমার জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত ছিল। আজকের সফলতার পেছনে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও অবদান অনেক।’ 

মামুন বলেন, ‘নিশ্চয় সারা বিশ্বে দুই শতাংশ গবেষকদের লিস্টে আসার অর্জন অনেক সম্মানের। আর এই লিস্টে নাম দেখতে পারাটা আমার মতো সামান্য একজন মানুষের জন্য সৌভাগ্যও বটে।’ 

তিনি নিজে গবেষণা ছাড়াও ২০১৭ সালে গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ‘চিন্তা রিসার্চ বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর ব্যানারে দেশি-বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন মামুন। এ ছাড়াও তিনি নতুন গবেষকদের জন্য কিছু মেন্টরিং-ট্রেইনিং প্রোগ্রাম করে যাচ্ছেন। 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মামুন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের একটি জনস্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। হয়তো আমাদের টিম দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফান্ডিং। আমাদেরকে সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি আর্থিক অনুদান দিত, তাহলে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা অনেক সহজ হতো।’  

মোহাম্মদ মামুনের সফলতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফর্মেটিক্স বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, ‘মামুনের সফলতা আমাদের বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। সে দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল পাচ্ছে। আমি অন্য শিক্ষার্থীদের তার থেকে উৎসাহিত হতে বলব। মামুনের কাছেও আমাদের প্রত্যাশা, সে অন্যান্যদের সহযোগিতা করবে।’ 

তাজউদ্দীন শিকদার আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করতে। শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা তহবিল গঠনের কাজও হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা এই বিভাগ থেকে মামুনের মতো আরও গবেষক তৈরি হবে।’ 

অন্যদিকে ১৯৬৫ থেকে ২০২০ সালের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সাইটেশন সংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০ জন গবেষককে তালিকাভুক্ত করা হয়। এতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন। 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা

দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ রাতে পড়াশোনা

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ দল