'সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কাঁকড়ার ভূমিকা রয়েছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে কাঁকড়ার পোনা আহরণের ফলে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ করা গেলে কাঁকড়া চাষ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে। কাঁকড়া চাষ হতে পারে সুন্দরবন নির্ভর জনগোষ্ঠীর অন্যতম বিকল্প কর্মসংস্থান। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।'
শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএম আরটি) ডিসিপ্লিনের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই কাঁকড়া চাষে ব্যাকটেরিয়া কি হুমকি' শীর্ষক অনলাইন কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, সুন্দরবনে কাঁকড়ার পরিমাণ নিয়ে জরিপ করা প্রয়োজন। তা ছাড়া দেশেও কাঁকড়া চাষ নিয়ে আরও বেশি গবেষণা বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে কাঁকড়া চাষ করে চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড সফলতা পেয়েছে।
কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশনে কাঁকড়া চাষ নিয়ে চলমান প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন পিএইচডি গবেষক এফএম আরটি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম। গবেষণায় কাঁকড়া চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফার্মে, হ্যাচারিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা থেকে কয়েকটি রোগ ছড়ানোর বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। তাই ব্যাকটেরিয়ামুক্ত কাঁকড়া চাষে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। তা ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ইতিমধ্যে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য-পরিচালক (ফিশারিজ) ড. মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জুলফিকার আলী।