জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় দোটানায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ভোট দিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলেও এখন তাঁরা ভোটের অপেক্ষায় থাকবেন নাকি ক্যাম্পাস ত্যাগ করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন।
সকালে নির্বাচন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, নির্বাচন হোক বা স্থগিতই থাকুক, যে সিদ্ধান্ত আসুক না কেন তা দ্রুত ও স্পষ্টভাবে আসা উচিত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন বলেন বলেন, এত দূর থেকে আসলাম শুধুমাত্র ভোট দিতে। কিন্তু হঠাৎ শুনলাম নির্বাচন হবে না। আবার শুনছি আজকেই হবে যেকোনো মূল্যে। নির্বাচন আজ হবে কিনা এটা নিয়ে সংশয়ে আছি।
অনিক নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন আজ হবে না। এদিকে সবাই আবার আন্দোলন করছে নির্বাচন আজকেই দেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত কী হয় দেখা যাক। কিন্তু যেটিই হোক সিদ্ধান্ত দ্রুত আসা উচিত।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুবরণের খবরে স্থগিত হয়েছে এ নির্বাচন।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।