দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের ১ হাজার ৮৭০ প্রভাষক। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারি কলেজ-২ অধিশাখা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক পর্যায়ের এসব কর্মকর্তাকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক নিজ নিজ কলেজ অথবা দপ্তরে ইনসিটু হিসেবে পদায়ন করা হলো।
পদোন্নতি পাওয়া সহকারী অধ্যাপকদের তালিকা দেখুন এখানে (282._compressed —নামে পিডিএফ এড করে দেবেন)
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত নির্দেশনাবলি অনুযায়ী পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিমুক্তি ও যোগদান প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির জট আছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। বছরের পর বছর পদোন্নতি না হওয়ায় প্রভাষক পর্যায়ের কর্মকর্তারা সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছিলেন।
গত রোববার থেকে ‘বিসিএস প্রভাষক পরিষদ’-এর ব্যানারে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৩২ থেকে ৩৭ তম ব্যাচের প্রভাষকেরা।
আন্দোলনরতদের পক্ষে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু আত্তীকৃত প্রভাষকসহ ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ তম বিসিএসের ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি হলো। শিক্ষা ক্যাডারের ইতিহাসে এটি বড় পদোন্নতি।
তিনি আরও বলেন, ‘৩২ ও ৩৩ তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। ৩৪ তম বিসিএস ১০ বছর, ৩৫ তম বিসিএস ৯ বছর, ৩৬ তম বিসিএস ৮ বছর, ৩৭ তম বিসিএস ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছিলেন না। এরপর এ পদোন্নতিতে শুধু প্রভাষকেরা নন, শিক্ষা ক্যাডারের সবাই খুশি। আমাদের আশা ছিল, ৩৭ তম ব্যাচ পর্যন্ত সবার পদোন্নতি হবে। তবে সরকার যে ৩২ থেকে ৩৫ তমদের দাবি পূরণ করল, সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’