বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েক বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছে হাঙ্গেরি। আগামী বছর থেকে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে দেশটি। বাংলাদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজজারতোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারে আসন্ন জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য জেনেভায় ছিলেন দুই মন্ত্রীই। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় বিষয়গুলোতে আলোচনা করেন এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাবের জন্য পিটার সিজজারতোকে ধন্যবাদ জানান এ কে আবদুল মোমেন। এ সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা আরও বাড়াতে অনুরোধ করেন তিনি। পিটার সিজজারতো আগামী বছর এ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বৈঠকে বাংলাদেশে হাঙ্গেরির কনস্যুলেট পরিচালনের বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী। এ সময়ে দুই দেশের স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হন দুজন। এ ছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়েও আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।
একই দিনে জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে চলমান বৈঠকে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এতে ভুটানের অর্থমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের বক্তারা অংশগ্রহণ করেন। সেশনটিতে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সকলের জন্য যথাযোগ্য কাজ নিশ্চিতে কাঠামোগত পরিবর্তন এবং স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়। এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো কীভাবে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংকটের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপক গড়ে তুলতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।