চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকায় টিকার নিবন্ধন করতে পারছে না তাঁদের এনআইডি কার্ড বানাতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এনআইডি না থাকা শিক্ষার্থীদের নিজ হলের প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধনের কপিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনআইডি থাকার পরেও টিকার জন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ফরম পূরণ করেনি, তাঁদেরও প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হলের প্রভোস্টরা সবার তথ্য সংগ্রহ করে ছাত্র উপদেষ্টাকে দেবে। ছাত্র উপদেষ্টা আমাদের দিলে আমরা নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে বিশেষ ব্যবস্থায় এনআইডি করার ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে যারা টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ফরম পূরণ করেনি, তাঁরাও হলের প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফরম পূরণ করে নিবে। আমরা আবার ইউজিসিতে তালিকা পাঠাব। কারণ সবাইকে তো টিকার আওতায় আনতে হবে।
এ দিকে সুরক্ষা অ্যাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন শুরু হওয়ার ৮ দিন পরেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অনলাইন ফরমে আবেদন করার পরেও সুরক্ষা অ্যাপে অনেককে ভ্যাকসিনের জন্য নির্বাচিত নয় বলে জানানো হচ্ছে। তবে আবাসিক না হয়েও অনেকে বিনা বাধায় নিবন্ধন করতে পেরেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমআইএস বিভাগে জানিয়েছি। তাঁরা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে গেল মার্চে ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ দুই দিন সময় দিয়ে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পৃথক দুইটি অনলাইন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়। এতে ২৭ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে টিকার জন্য আবেদন করে ১৩ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৪ হাজার।