স্কুল শুধুই পাঠ্যবই আর ক্লাসরুম নয়। এটি শিশু-কিশোরদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়, শেখার জায়গা। কিন্তু যদি সেই স্কুলেই হঠাৎ নেমে আসে বড় কোনো বিপদ! তখন কী করবে শিক্ষার্থীরা? থাকছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা—
ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মূল্যায়ন
আতঙ্ক নয়, সচেতনতা—এই নীতিতে চলতে হবে। হঠাৎ দুর্ঘটনায় অকারণে চিৎকার বা হুড়োহুড়ি করা যাবে না। এতে অন্যরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারে। সব সময় শিক্ষক বা বড়দের নির্দেশ মেনে চলা নিরাপদ।
নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া
বিস্ফোরণ, আগুন বা দুর্ঘটনার শব্দ শুনলেই জানালা, কাচ ও ঝুলন্ত জিনিসপত্র থেকে দূরে সরে যেতে হবে। স্কুলে যদি নির্ধারিত বহির্গমন পথ থাকে, সেটি দিয়ে দ্রুত খোলা জায়গায় চলে যেতে হবে।
আগুন লাগলে করণীয়
আগুন লাগলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিচু হয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে, কারণ ধোঁয়া ওপরের দিকে ছড়ায়। মুখ ও নাক কাপড় বা হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন ধোঁয়া শ্বাসনালিতে না ঢোকে। পানিতে ভেজানো কাপড় শরীরে পেঁচিয়ে বা নাক-মুখ ঢেকে বের হতে পারলে ভালো। বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে জানালার পাশে গিয়ে সাহায্যের জন্য ইশারা করতে হবে।
জরুরি নম্বর মুখস্থ রাখা
জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯—যেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তা পাওয়া যায়—এই নম্বরটি শিক্ষার্থীদের মুখস্থ রাখা উচিত। পাশাপাশি স্থানীয় থানার নম্বর, স্কুল কর্তৃপক্ষের ফোন নম্বর জানা থাকলে বিপদের সময় যোগাযোগ সহজ হয়।
কক্ষের ভেতর আটকে গেলে
দরজা বন্ধ হয়ে গেলে জানালার পাশে গিয়ে হাত নাড়ানো, কাপড় ঝোলানো বা শব্দ করে সাহায্যের সংকেত দিতে হবে। চিৎকার না করে, নির্দিষ্ট শব্দ করলে তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। ধোঁয়া থাকলে মাটির কাছাকাছি হয়ে শ্বাস নিতে হবে এবং মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের বিপদে সচেতনভাবে নিজেকে রক্ষা করতে শেখানো মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও মানবিক করে গড়ে তোলা।