হোম > শিক্ষা

‘শিক্ষকদের যেন ক্ষুধা নেই, সংসার নেই, সন্তান নেই’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ের সরকার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউই তা পূরণ করেনি। এখনো একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা একধরনের বঞ্চনার মধ্যে আছি। আমাদের অনেক সহকর্মী প্রভাষক হিসেবেই অবসর নিয়েছেন। আজও সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কেউ কথা রাখেনি। আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষকেরা একজন ক্লার্ক বা অ্যাকাউন্ট্যান্টের চেয়ে কম বেতন পান।’

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের যেন ক্ষুধা নেই, সংসার নেই, সন্তান নেই। তিনি মহাপুরুষ, তাই তাঁর কিছুই লাগবে না—এ ধারণাই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। আমাদেরকে ‘ফ্রিজ’ করে রাখা হয়েছে। প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকেরা বৈষম্যের শিকার।’

শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি এক হয়ে দাঁড়াই, তাহলে কেউ আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করতে পারবে না। সরিষার মধ্যে যদি ভূত না থাকে, তাহলে সেই ভূত তাড়াতে সময় লাগবে না। আমরা পাকা সরিষা, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তবে ভূত পালাবে। আসুন, আমরা আমাদের অধিকারের প্রশ্নে সচেতন ও সক্রিয় হই।’

সভায় বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তামান্না বেগম বলেন, শিক্ষকদের কিছু দিতে গেলেই রাষ্ট্র যেন দরিদ্র হয়ে পড়ে। এমন ধারণা বদলানো দরকার। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও শিক্ষকেরা এখনো প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত।

তামান্না বেগম আরও বলেন, ‘যাঁরা বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন, তাঁদের অনেকে ১২ বছরেও প্রমোশন (পদোন্নতি) পান না। আমরা রাষ্ট্রের কাঠামোয় “ক্যাডার” হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও মর্যাদা বা সুযোগের দিক থেকে বঞ্চিত।’

তামান্না বেগম বলেন, শিক্ষকতা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অবমূল্যায়িত পেশা। সীমিত সম্মান, সীমিত বেতন ও সুযোগের মধ্যেও শিক্ষকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব ড. মো. মাসুদ রানা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। সভায় দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

স্বামীর পর স্ত্রীও পেলেন আচার্য স্বর্ণপদক

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

আইইউবিএটিতে ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-২)

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব গুয়েলফ প্রেসিডেন্টস বৃত্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ঢাবির কলা অনুষদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল চাইল তিতুমীর শিক্ষার্থীদের একাংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: লিখিত অংশে চাই বাড়তি গুরুত্ব