সিলেটে স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোকন মিয়া (৩০) নামের ব্যক্তির নামে। তবে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে গৃহবধূর ভাইয়ের দাবি হত্যা করা হয়েছে তাঁর বোনকে।
অভিযুক্ত খোকন মিয়া (৩০) সিলেটের মোগলাবাজার থানার দাউদপুর এলাকার তিরাশি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে মোগলাবাজার থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খোকন মিয়া তার স্ত্রী রুমী বেগমকে (২১) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান খোকন। খোকনের সঙ্গে আসা তার ভাইকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি হাসপাতালে।
রুমী বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায়।
রুমীর ভাই জুনেদ মিয়া জানান, দুই বছর আগে খোকনের সঙ্গে তাঁর বোনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। খোকন ও রুমীর সংসারে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জুনেদ বলেন, `বিয়ের পর থেকেই খোকন বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে রুমীকে নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। গতকাল বুধবার সকালে আমার বোন মাকে ফোন করে বলেন, ‘আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ অথচ বিকেলে আমার বোনের স্বামী খোকন ফোন করে বলেন, `রুমী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা রুমীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।' আমি এ হত্যার বিচার চাই।'
ওসি মো. শামসুদ্দোহা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছে। রুমীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে, নাকি আত্মহত্যা করেছেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে। তবে স্বামীর পালিয়ে যাওয়াটা রহস্যজনক। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।