সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামালের মৃত্যুর ঘটনার আট দিন পর জুম্মান আহমদ (২৭) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলার মাটিরাঙা উপজেলা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জুম্মান উপজেলার সৈয়দপুর (গোয়ালগাঁও) গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জুম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রামের সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সঙ্গে সৈয়দ হোসাইন আহমেদের পূর্ব বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ২৮ এপ্রিল রাতে দু পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সৈয়দ আলমগীর হোসেনের লোকজনের ছোড়া গুলিতে সৈয়দ জামাল (৪৫), সৈয়দ গফর আহমেদ শিপু (২৮), সৈয়দ সেলু মিয়া (৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০), সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০), সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামালের মৃত্যু হয়।
পরে ১ মে জামালের ভাই সৈয়দ হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন। মামলার সাত দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।