সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সোর্স নুর উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ এপ্রিল) তাঁর বাবা আবু তাহের মিস্ত্রি বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে এই মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নুরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার উত্তর ঢালারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ‘নুর উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি দিয়ে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক জনকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবু তাহের মিস্ত্রি বলেন, ‘কারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে জানি না। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা জানা গেছে, নুর উদ্দিনের বাড়ি উত্তর ঢালারপাড় গ্রামে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে কল আসে। ফোনে কথা বলার পর বাবাকে বলে বাইরে বের হন তিনি। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সকাল থেকেই তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন স্বজনেরা। পরদিন বেলা ১১টার দিকে শফিক বাজার-কালা বাঁধের পাশে ধলাই নদ থেকে নুর উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। বেলা ১টার দিকে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। তিনি জানান, মরদেহের পিঠে এবং ডান হাতে ছুরির আঘাত রয়েছে। গলায় রয়েছে একটি কালো দাগ।