সিলেট রেলওয়ে রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন এনজিও কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন (৫১)। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃত দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে আনোয়ার তাদের দুজনকে ধরে ফেলেন। এ সময় তারা চাকু দিয়ে কুপিয়ে আনোয়ারের মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান আনোয়ার। মানিব্যাগে থাকা ১৩ শ টাকা দিয়ে জুতা ও শার্ট কিনে ছিনতাইকারীরা।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোলেমানের কাছ থেকে দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যার পর নগরের দক্ষিণ সুরমার রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. আনোয়ার হোসেন (৫১)। তিনি ভোলা জেলার সদর থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত লতিফ শিকদারের ছেলে। এনজিও সংস্থা ‘সীমান্তিক’ এর অ্যাডমিন এন্ড অ্যাকাউন্টের সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রশিক্ষণের কাজে সিলেটে এসেছিলেন আনোয়ার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাবুল শিকদার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (২০) নামের এক যুবককে। তিনি নগরীর মোমিনখলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাঁর দেওয়া তথ্যানুসারে পুলিশ গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার সটিয়াজুরী গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে সজিব আহমদ সোলেমান (২১) ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার লিয়াকতগঞ্জ গ্রামের মোস্তফা আহমদের ছেলে জালাল আহমদকে (১৯)। সোলেমান খোজারখলায় এবং জালাল ভার্থখলা এলাকায় বসবাস করছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোলেমানও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।