লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য দুবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন। এ সময় তাঁর হাতে ছিল রাইফেল।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মিঠাইবাড়ী এলাকায় গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আহ্বানে সন্ধ্যায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের কোচবিহার জেলার জলপাইগুড়ির ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা ক্যাম্পের টহল দলের এক বিএসএফ সদস্য রাইফেল নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেন। তিনি সীমান্তের ৮৪৫ নম্বর প্রধান পিলারের ১০ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভুট্টাখেতে কাজ করা মিঠাইবাড়ীর কৃষক রাকিব হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন কৌশলে তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে তিনি ভুল স্বীকার করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছু সময় পর তিনি আবার বাংলাদেশে ঢুকে এলাকাবাসীর বাধা পেয়ে ফিরে যান।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলের পাশে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষে পানিশালা-১ কোম্পানি সদরের কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর রামচন্দ্র সিং ও বাংলাদেশের পক্ষে বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি সদরের কমান্ডার আবুল কাশেম নেতৃত্ব দেন।
আবুল কাশেম বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফ জোয়ানের প্রবেশের কথা স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জেনেছি। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ জানানো হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ভারতের পানিশালা-১ কোম্পানি সদরের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করা হয়। বাংলাদেশে প্রবেশের কথা বিএসএফ অস্বীকার করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছি, বিএসএফের কোনো সদস্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’