বগুড়ায় মাইক্রোবাসচালক নুরুল হক হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন তিনি। রায় ঘোষণাকালে ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন
আসামিরা হলেন-শাহিন, ইলিয়াস হোসেন, শাহাজুদ্দিন, নজরুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, আমির হামজা, জালাল গাজী, রোকেয়া বেগম ও শাহিনুর রহমান।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল বারী হলি বলেন, ২০১৫ সালের ২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের একটি আমবাগানের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় শেরপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক সেরাজুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জানতে পারে মরদেহটি মাইক্রোবাসচালক ও সুনামগঞ্জের আমবাড়ি বাজার এলাকার শওকত আলীর ছেলে নুরুল হকের। তিনি ওই দিন ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে বের হন। পথে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তাঁকে হত্যা করে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যান।
এরই সূত্র ধরে পুলিশ কুড়িগ্রাম থেকে শাহীন, রাসেল ও নজরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার এবং বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।