চাঁদাবাজির মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের (৫২) ও তাঁর ছেলে আশিফ জাদ্দারীকে (৩০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমলি আদালতের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। পরে আদালত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের ও তাঁর ছেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে এদিন সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য ইট ও বালু রাখেন। এরপর থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। ১৭ মার্চ আবারও দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমিতে এসে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে পারবেন না জানালে মারধর ও জখম করেন।
এ মামলার বাদী শফিকুল ইসলামের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের ও তাঁর ছেলে আশিফ জাদ্দারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।