বগুড়ার শাজাহানপুরে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ গুমের অভিযোগে দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক এবং চুপিনগর দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মাজেদ।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। রায় ঘোষণাকালে তিনি আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর দক্ষিণপাড়ার মাহবুবুর রহমানের পাঁচ বছর বয়সী শিশু রোমান হোসেন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মাহবুবের বাবা হজরত আলী শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২৮ আগস্ট তাঁদের প্রতিবেশী মাজেদকে সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় মাজেদ ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে খালেক ও রাজ্জাকের হাতে তুলে দেওয়া কথা জানান।
পরবর্তী কালে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রামবাসীরা খালেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটির বাবা মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় মামলা করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।