বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান স্কুল পরিচালক মোনারুল ইসলাম (৩৫)। এ ঘটনার পর শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ছাত্রী ও তার মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ওই ছাত্রী (১৬) ও তার মাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে স্কুল পরিচালকের স্ত্রী আনজুমান প্রিয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল থেকে এবার এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীর সঙ্গে মোনারুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে পরিবার অন্যত্র বিয়ে দেয়। এরপরও ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোনারুলের যোগাযোগ ছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর বাবা গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে মোনারুলকে বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর মোনারুলকে তাঁর মোবাইল ফোনে থাকা কিছু ছবি মুছে ফেলতে বলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মোনারুলকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে উদ্ধার করে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার (১ জানুয়ারি) তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
মোনারুল শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। তিনি ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত ‘প্রতিভা কিন্ডার গার্ডেন’ স্কুলের পরিচালক ছিলেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।