নিজেকে ঠিকাদার, কখনো বালুমহালের ইজারাদার, আবার কখনো বিত্তশালী ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে ভুয়া কাবিননামায় ছয়টি বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছেন মেহেদী হাসান (২৮)। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামের বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ জানুয়ারি মেহেদী হাসানের ষষ্ঠ স্ত্রী র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী নিজেকে ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছয়টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট সদর থানার জামালপুর এলাকা থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় পাঁচ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা হলেন মেহেদী হাসানের পঞ্চম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩), ষষ্ঠ স্ত্রী রুমি পারভীন (২৫), শাশুড়ি শামিমা আক্তার (৪৫) এবং পঞ্চম স্ত্রীর দুই সন্তান। তবে এ সময় তাঁর দুই সহযোগী লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যান।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আমরা ঘটনার সত্যতা পাই। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জানতে পারি সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী জামালপুর এলাকায় অভিযোগকারীর বোন, ভাগনে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন। এরপর র্যাব সদস্যরা গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় করা মামলা হয়েছে।’