পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রয়াত এক কলেজশিক্ষকের বৃদ্ধা স্ত্রী রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহের পর পুলিশ বলছে, এটি একটি খুন। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পাকশী ইপিজেড এলাকায় গোলাবাড়ি মোড়ে নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই বৃদ্ধার নাম হাজেরা খাতুন (৭৬)। তিনি পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হব্বুলের বড় বোন এবং রাজশাহী একটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক হাবিবুল্লাহর স্ত্রী। হাজেরা খাতুন নিজ বাড়িতে একা থাকতেন।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, হাজেরা খাতুনের সাত ছেলে-মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডা ও বাকিরা ঢাকায় থাকেন। পাকশীর গোলাবাড়ির ওই বাড়িতে হাজেরা খাতুন একা থাকতেন। তবে রাতে দেখাশোনার জন্য সেলিনা খাতুন নামে এক প্রতিবেশী নারী ওই বাড়িতে থাকতেন।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে হাজেরা খাতুনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া পান তাঁর মেয়েরা। এই খবর মেয়েরা প্রতিবেশী সেলিনা খাতুনকে জানান। সেলিনা খাতুন ওই বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান। পরে সেলিনা খাতুন, তাঁর ছেলে ও একজন প্রতিবেশী শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ খাটের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ থেকে ক্রাইম টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্পট তদন্তের পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এটি একটি খুন। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।’