নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ওই নারী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের বাসিন্দা অভিযুক্তের (৪০) সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিদে কারণে-অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন স্বামী। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত যৌনাচার করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর পিতা মো. রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়েজামাইকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নির্যাতনের ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী বলেন, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন স্বামী। নিষেধ করলে তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ওই গৃহবধূ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফা আফরোজ বানু বলেন, ‘নববধূ বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি। ঘটনার পরপরই চিকিৎসা নিতে আসায় আলামত পাওয়া গেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ওই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়েজামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারী নির্যাতন মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।