দাম্পত্য কলহের জেরে নওগাঁয় চাতালশ্রমিক লাইলীকে (৪৫) বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী আমজাদ হোসেন (৫০)। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটিটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
এর আগে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁ শহর থেকে আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, ২ ডিসেম্বর সারা দিনের কাজ শেষে রাতে লাইলী ও তাঁর স্বামী একই ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও লাইলী কাজে না যাওয়ায় অন্য শ্রমিকেরা তাঁদের ঘরে গিয়ে দেখেন লাইলীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত লাইলী বেগমের ভাই আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এরপর চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নওগাঁ শহর থেকে আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি।
ওসি আরও বলেন, হত্যার কথা স্বীকার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ হোসেন জানান, দাম্পত্য কলহের কারণে ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে চাতালে তাঁদের শোবার ঘরে ধারালো বঁটি দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, লাইলী বেগম দীর্ঘদিন ধরে চালকলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চাতালে শ্রমিকদের ঘরেই বসবাস করতেন তিনি ও তাঁর স্বামী।