গত ২৪ জুলাই আজকের পত্রিকায় ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সমঝোতা করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের অন্যত্র বদলিই তাঁর শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর আলমের হস্তক্ষেপে নন্দনপুর ইউপি কার্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়।
জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ৬১ নম্বর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিলীপ কুমার ঘোষ গত ১৯ জুলাই সকাল ১০টার দিকে ৩য় শ্রেণির কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করে। বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের জানায়। পরে ছাত্রী বাদী হয়ে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়।
নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ছাত্রীর মামার অভিযোগের বিষয়টি উভয়কে ডেকে মীমাংসা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি চেয়ারম্যানেরা মীমাংসা করেছেন। আমি ওই শিক্ষককে বর্তমানে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। কয়েক দিন পর তাকে অন্যত্রে বদলি করে দেব।’