হোম > অপরাধ > রাজশাহী

পরকীয়ার টানে স্বামীকে হত্যা করায় স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামী আব্দুর রহিম বাদশাহের (৩৭) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় তিনজন আসামির মধ্যে দুজন উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম-ডুগডুগি গ্রামের নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৭), শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিঞা (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল (৩৭)। 

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে (৩৭) গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। নিহত রহিম বাদশা দিনাজপুরের দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন সাদার ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত একটি মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি বলেন, স্বামীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সেলিম মিঞা। এই সুবাদে তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে সেলিম মিঞা ও আকলিমা খাতুনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

একপর্যায়ে তাঁরা আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে তাঁদের পথের কাটা মনে করেন। তাই তাঁরা রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে সেলিম মিঞা তাঁর বন্ধু আইনুলকে সঙ্গে নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি নামক স্থানে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসে চালকের আসনে রহিম বাদশাকে বসা অবস্থায় রেখে চলে যান। এ ঘটনার পরদিন ১১ জুলাই রহিম বাদশার বাবা শাহাদত হোসেন সাদা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

অতঃপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কিরণ কুমার ১৩ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের প্রেমিক সেলিম মিঞা, ১৪ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। 

গ্রেপ্তারের পর তিন আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর কিরণ কুমার রায় তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি আরও বলেন, কারাগারে থাকার পর আসামি আকলিমা খাতুন এত দিন জামিনে ছিলেন। এখন পলাতক রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত সেলিম মিঞা ও আইনুলকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামিরা চাইলে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। 

আসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন, আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ও আফজাল হোসেন। 

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে থানায় নিখোঁজের জিডি

রাবিতে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাকসুর জিএস আম্মারের

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে যাত্রা, পুলিশি বাধায় পণ্ড

আবাদি জমিতে পুকুর খননে বাধা, কৃষককে এক্সকাভেটরের নিচে ফেলে হত্যা

ইউপি সদস্যের কার্যালয়ে আটকে রাখা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সড়ক অবরোধ

বৃক্ষরোপণে বদলে যাচ্ছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

জমিতে পুকুর কাটতে বাধা দেওয়ায় কৃষককে ভেকুচাপায় হত্যার অভিযোগ

মুরগি মারার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা