হোম > অপরাধ > রাজশাহী

সিরাজগঞ্জে পৃথক হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ শিউলী খাতুন (২৩) ও স্কুলছাত্র শাহাদৎ হোসেন (৭) হত্যা মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাহ্মনগাঁতি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৩), নাটোর জেলার সিংড়া থানার ক্ষিরপোতা এলাকার হাসান তালুদারের ছেলে মাসুদ ওরফে নুরনবী (৩২) ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৮)। 

দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম হোসেন ও মাসুদ ওরফে নুরনবী পলাতক রয়েছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে আজ আদালত এ রায় দেন। 

সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি ওয়াছ করোনী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাক্ষনগাতী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিউলি খাতুনের। একপর্যায়ে সাদ্দাম শিউলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। শিউলির বাবা হাসান তালুকদার বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হয়ে তাঁকে (শিউলি) অন্যত্র বিয়ে দেন। এতে সাদ্দাম হাসান তালুকদারের ওপর ক্ষিপ্ত হন। 

বিয়ের কয়েক দিন পর শিউলি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সাদ্দাম ও মাসুদ নুরনবী ২০১০ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসান তালুকদারের বাড়িতে গিয়ে শিউলি খাতুনকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে তাঁরা শিউলিকে সদর থানার রাজিবপুর বিলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলাকালে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালতের বিচারক ছাদ্দাম হোসেন ও মাসুদ নুরনবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। 

অপরদিকে হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় শাহিদা বেগমের। বিয়ের সময় শাহিদা বেগমের আগের পক্ষের ৭ বছরের এক ছেলে ছিল। নাম তার শাহাদৎ হোসেন। ছেলেকে নিয়ে মনিরুলের সঙ্গে সংসার করছিলেন শাহিদা। এই ছেলেকে নিয়ে শাহিদার সঙ্গে মনিরুলের পারিবারিক কলোহ শুরু হয়। 

 ২০১৯ সালের ১৯ মে পারিবারিক কলহের জেরে শাহাদৎকে কৌশলে তুলে নিয়ে যান মনিরুল ইসলাম। পরে মনিরুল স্কুলছাত্র শাহাদৎ হোসেনকে হত্যা করেন। মরদেহ শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর পাশে শ্যালো মেশিনের ড্রেনে ভেতর রেখে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন মনিরুল ইসলাম। পরে পুলিশ স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। শাহাদৎ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনগাতী গ্রামের আসাদুলের ছেলে। 

এ ঘটনায় শাহাদৎ হোসেনের মা শাহিদা বেগম বাদী হয়ে মনিরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মনিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ মনিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সিরাজগঞ্জে লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ২

যুবকের হাত-পা কেটে দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে

চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় রাসিক