গুরুদাসপুর (নাটোর) : গুরুদাসপুরে ঋণের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বাড়িতে হামলা করে এক নারীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার পান্না (৩২) স্থানীয় শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। হামলাকারীরা ঘর থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারও লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মিলনের বড়ভাই এমদাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ। মিলন (৩৫) পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদের ছেলে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। অ্যাসিড দগ্ধ পান্নাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী পান্নাকে দিয়ে স্থানীয় এনজিও জাগরনী চক্র থেকে ৯৯ হাজার টাকা ঋণ নেন। সে সময় মিলন নামে একজন তাঁকে সহযোগিতা করেন। এরপর থেকে মিলন টাকা পাবে বলে দাবি করে আসছেন। একপর্যায়ে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি চেয়ে নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলেন মিলন। কিন্তু স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না করায় শফিকুলের বাড়িতে হামলা চালান মিলন। তাঁর স্ত্রীকে মারপিট করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন মিলন ও তাঁর সঙ্গীরা। স্থানীয়রা পান্নাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত পান্না বলেন, নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না দেওয়ায় আমাকে মারপিট করে এবং শরীর অ্যাসিডে দিয়ে ঝলসে দিয়েছে মিলন ও তাঁর সন্ত্রাসীরা। পরে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও ৫ ভরি গয়না লুট করে নিয়ে যান তাঁরা।
প্রতিবেশী মনিরা খাতুন বলেন, মিলন ও তাঁর সঙ্গীরা বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এ সময় তাঁর ছেলে সিজান (১০) ও মেয়ে জুম্মা (২) আমার বাসার উঠানে খেলাধুলা করছিল।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, পান্নার দুই হাত-পা অ্যাসিডে ঝলসে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই মিলনের বড়ভাই এমদাদুল হককে আটক করা হয়েছে। মিলন ও তাঁর সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।