জয়পুরহাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি নেপাল দাসের হত্যাকারী পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামি সিপাহি হযরত জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১৩। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সিপাহি হযরত জাকারিয়াকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-৫ এর অধিনায়ক (সিইও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিপাহি হযরত জাকারিয়ার জন্মস্থান লালমনিরহাট জেলায়।
এ ঘটনায় এর আগে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট নেপাল দাসের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। অবশেষে নিজের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কলাগাছি-দাসপাড়া গ্রামে তাঁর শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেপাল দাসকে (৩১) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেন। এরপর ওই হাসপাতাল মর্গেই মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। অতঃপর যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার দুপুরে বিজিবি-২০ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম নেপালের মরদেহ তাঁর বড় ভাই গোপাল দাসের নিকট হস্তান্তর করেন।
নেপাল দাস ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কলাগাছি-দাসপাড়া গ্রামের নারায়ণ দাসের ছেলে। তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে নেপাল দ্বিতীয়। বোন হাসি রাণী দাস গৃহিণী। বড় ভাই গোপাল দাস ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোট ভাই বাদল দাস সেনাবাহিনীর সদস্য। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের অর্ণব দাস নামের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।