হোম > অপরাধ > রাজশাহী

৭০ বছরের বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘জামাইয়ের সঙ্গে পরকীয়ার’ অপবাদ দিয়ে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে মারধর করেছেন দুই প্রতিবেশী। গতকাল মঙ্গলবার চাপিলা ইউনিয়নের পমপাথুরিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

নির্যাতনকারী একই এলাকার আলম হোসেনের ছেলে রতন আলী ও উজ্জল হোসেনের ছেলে বকুল হোসেনকে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধা ও তাঁর জামাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক রয়েছেন; তাঁদের খোঁজা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান। 

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই বৃদ্ধার সঙ্গে তার মেজো মেয়ে ও তার স্বামী বসবাস করেন। সন্তানসম্ভবা ছোট মেয়েকে দেখতে গতকাল সন্ধ্যার পর হাসপাতালে যান তার মেজ মেয়ে। বৃদ্ধার জ্বর থাকায় তিনি হাসপাতালে যেতে পারেননি। রাতে তাঁর জামাই শাশুড়িকে অসুস্থ দেখে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরে তিনি শাশুড়ির ঘরে ঢুকলে বাইরে থেকে প্রতিবেশী রতন ও বকুল যুবক চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।

তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হলে ‘জামাইয়ের সঙ্গে ওই বৃদ্ধার পরকীয়া’ রয়েছে বলে অপবাদ দেয় রতন ও বকুল। তাঁরা প্রথমে জামাইকে মারধর করেন এবং পরে বৃদ্ধাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। 

ওই বৃদ্ধা সাংবাদিকদের বলেন, রতন ও বকুল তাকে টেনেহিঁচড়ে কাদাপানির মধ্যে নিয়ে যায় এবং ডাবগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে।

পুলিশ তাদের খুঁজে না পেলেও ঘটনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রতন ও বকুল। নির্যাতনের কথা স্বীকার করে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে তারা বলেছেন, জামাই ও শাশুড়ির মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। 

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটে ট্রাক–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১

সাজিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

দুর্গাপুরে বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

গভীর নলকূপ খনন: বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক