হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ১১ আসন: বিএনপির দ্বন্দ্বে সুবিধায় জামায়াত

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ  

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাকির হোসেন, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মতিউর রহমান আকন্দ, কামরুল হাসান ও কামরুল আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনের ৯টিতেই দলের প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। এগুলোর মধ্যে ৫টিতেই সরব মনোনয়নবঞ্চিতরা। দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন বঞ্চিত ব্যক্তিদের অনুসারীরা। আরও একাধিক আসনে দলের মধ্যকার গ্রুপিংয়ে বিপাকে পড়তে পারে বিএনপি। অন্যদিকে জোটসঙ্গীদের জন্য একটি ছেড়ে দিয়ে জেলার বাকি ১০টি আসনে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের সুবিধা পেতে পারেন তাঁরা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দলীয় কোন্দল থাকলেও বৃহৎ স্বার্থে সবাই এক হয়ে বিএনপিকে জেতাতে কাজ করবে। জামায়াত ধারে-কাছেও থাকবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জামায়াতের জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। কারণ, আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মানুষকে হয়রানি বা চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যেই জনগণ দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।’

ময়মনসিংহ-১

হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তবে এখানে বিএনপির তিনটি গ্রুপ সক্রিয়। প্রিন্সের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে এলাকায় বিশাল মিছিল করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের অনুসারীরা। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা আমির মাহফুজুর রহমান মুক্তা। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা তাজুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ-২

এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারাকান্দার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার। তবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে নিয়মিত নানা কর্মসূচি পালন করছেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল বাসার আকন্দের অনুসারীরা। ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আনোয়ার হাসান সুজন। ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি গোলাম মাওলা ভুইয়া, খেলাফত মজলিস থেকে মতিউর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি মোহাম্মদুল্লাহ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে আবু রায়হান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

ময়মনসিংহ-৩

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এখানে আলোচনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন। তবে গৌরীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে শেষ পর্যন্ত দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পান প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসাইন। প্রতিবাদে উপজেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ, অবরোধ ও ভাঙচুর করে হিরনের অনুসারীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিরনসহ পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হলেও প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন হিরনের অনুসারীরা। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা আমির মাওলানা বদরুজ্জামান। নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তিনি।

ময়মনসিংহ-৪

ময়মনসিংহ মহানগর ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিকে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। তবে এলাকায় আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার এবং ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে তাঁদের অনুসারীরা। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী মহানগর আমির কামরুল আহসান এমরুল নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এনসিপি থেকে ডা. জাহেদুল করিম এবং আশিকিন রাজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ-৫

মুক্তাগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। এখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।

ময়মনসিংহ-৬

কৃষিনির্ভর ফুলবাড়িয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আকতারুল আলম ফারুক। তবে দলের বিবদমান তিন পক্ষের বৈরিতা তাঁর জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। এর সুবিধা পেতে পারেন জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুল হাসান মিলন।

ময়মনসিংহ-৭

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশাল উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী মহানগর শাখার নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল।

ময়মনসিংহ-৮

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আয়নাঘরের ভুক্তভোগী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। এই আসনে দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা আমির মঞ্জুরুল হক হাসান।

ময়মনসিংহ-৯

এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী। তবে নান্দাইল উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে বিএনপি পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত। জামায়াত থেকে এখনো এখানে কাউকে সবুজসংকেত দেওয়া হয়নি। এখানে তাঁরা ইসলামি দলগুলোর জোট থেকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চানকে সমর্থন দিতে পারেন।

ময়মনসিংহ-১০

গফরগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তবে দল থেকে এখনো কাউকে সবুজসংকেত দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের উপজেলা আমির ইসমাইল হোসেন।

ময়মনসিংহ-১১

শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ভালুকা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ফখরুদ্দীন আহম্মেদ বাচ্চু। তবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এলাকায় মশাল মিছিল করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ মুর্শেদ আলমের অনুসারীরা। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলার আমির সাইফ উল্লাহ পাঠান।

বদলি নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষক নেতার

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফাঁস, উপসহকারী প্রকৌশলীকে বদলি

জামালপুর-২: বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পাশে নেই মনোনয়নবঞ্চিতরা

বাকৃবিতে শুরু দুই দিনব্যাপী বিএসপিএসটির জাতীয় সম্মেলন

উন্নয়ন প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহ্বান

বন্ধুকে খুন করে রক্তমাখা কুড়াল হাতে থানায় হাজির যুবক

বাকৃবিতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

পুলিশ বক্সের সামনে যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে মৃত্যু

শেরপুরে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

ডিসেম্বরে জাতীয় নেতাদের কাছে নাগরিক ইশতেহার তুলে ধরা হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য