নেত্রকোনা শহরের রাজুরবাজার এলাকা থেকে সাফায়েত হোসেন (৩৮) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার একটি রাইস মিলের পাশের ময়লার ভাগাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সাফায়েত হোসেন নেত্রকোনা সদর পৌরসভার বালুয়াখালী এলাকার ওমর আলীর ছেলে। তিনি জেলা কৃষক লীগের সদস্য এবং পৌর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক এ কে এম মাসুদ ফারুক হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি ছিলেন। সাফায়েত ফিশারি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন সাফায়েত হোসেনের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিবলী সাদিকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাফায়েত হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘সাফায়েত হোসেন কৃষক লীগ নেতা এ কে এম মাসুদ ফারুক হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি ছিলেন। পূর্ববিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর মাসুদ ফারুককে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় করা মামলার আসামি সাফায়েত বর্তমানে জামিনে ছিলেন।’